পাকিস্তান নির্বাচন নিয়ে রহস্যময় কিছু তথ্য

পাকিস্তানে ১১তম সাধারণ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে সারাদেশে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে ১০ কোটি ৫ লাখ লোক দেশটির পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এই নির্বাচনে নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন’র সঙ্গে ইমরান খানের দল পিটিআই’র ও বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি’র হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

তবে এই নির্বাচনে অনেকগুলো দিক রয়েছে যা অবাক করার মতো। নিচে এমন পাঁচটি তথ্য তুলে ধরা হলো:

এক. এ পর্যন্ত কোনো পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীই তাদের মেয়াদ পুরো করতে পারেনি। একটি সরকার মেয়াদ পুরো করে পরবর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, পাকিস্তানে এমনটা দ্বিতীয়বারে মতো ঘটতে যাচ্ছে। এর আগে সরকারগুলো অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। কখনো বা নেতারা আদালতের আদেশে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন।

দুই. পাকিস্তানে রাজনীতির একজন বড় নেতৃত্ব ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নওয়াজ শরীফ ২০১৭ সালে অপসারিত হন। তাঁর নির্বাচনে দাঁড়ানো নিষিদ্ধ করা হয় এবং জুলাই মাসে তাকে দুর্নীতির দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ঘটনার জন্য তিনি সামরিক বাহিনীকে দায়ী করেন।

তিন. এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রেকর্ড সংখ্যক নারী প্রার্থী। মোট ২৭২টি পার্লামেন্টারি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭১ জন নারী। পুরুষ আধিপত্য রয়েছে এমন উপজাতীয় এলাকায় প্রথম নারী প্রার্থী হয়েছেন আলি বেগম।

চার. এবার উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এই নির্বাচনে নিষিদ্ধ গোষ্ঠীগুলোও অংশ নিয়েছে। কিছু সংবাদ মাধ্যম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে এভাবে উগ্রপন্থী সংগঠনগুরো রাজনীতিতে প্রবেশ করছে।

পাঁচ. তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীরাও এবার নির্বাচন করছেন। এমন অন্তত চার জন প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়েছেন, যারা লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন। তাদের প্রথমবারের মতো নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দেওয়া হয় ২০১৩ সালে।